international newsNewsSport

দক্ষিণ কোরিয়ায় উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত: শেষ কয়েক মিনিটের ভয়াবহ ঘটনাপ্রবাহ

দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জুজু এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনাটি ভয়াবহ এক বিপর্যয় হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এই দুর্ঘটনার সময় উড়োজাহাজটির শেষ কয়েক মিনিটের ঘটনা প্রবাহ নিম্নরূপ:

দক্ষিণ কোরিয়ায় উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত: শেষ কয়েক মিনিটের ভয়াবহ ঘটনাপ্রবাহ
দক্ষিণ কোরিয়ায় উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত: শেষ কয়েক মিনিটের ভয়াবহ ঘটনাপ্রবাহ

দক্ষিণ কোরিয়ায় উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত ঘটনার কালানুক্রম:

সকাল ৮:৫৪: মুয়ান বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে উড়োজাহাজটিকে ১ নম্বর রানওয়েতে অবতরণের অনুমতি দেওয়া হয়।

সকাল ৮:৫৭: উড়োজাহাজটির অবতরণপথে পাখির উপস্থিতি সম্পর্কে সতর্কবার্তা পাঠায় টাওয়ার।

সকাল ৮:৫৯: পাইলট টাওয়ারকে জানান যে পাখির আঘাতের কারণে উড়োজাহাজে জরুরি অবস্থা তৈরি হয়েছে। তাঁরা “মেডে” সংকেত দেন এবং ফিরে যাওয়ার অনুমতি চান।

সকাল ৯:০০: উড়োজাহাজটি টাওয়ারের কাছে ১৯ নম্বর রানওয়েতে অবতরণের অনুমতি চায়। এটি মূল রানওয়ের বিপরীত দিকের একটি রানওয়ে।

সকাল ৯:০১: টাওয়ার ১৯ নম্বর রানওয়েতে অবতরণের অনুমতি দেয়।

সকাল ৯:০২: ২,৮০০ মিটার দীর্ঘ রানওয়ের মাঝামাঝি (১,২০০ মিটার) উড়োজাহাজের চাকা স্পর্শ করে।

সকাল ৯:০২:৩৪: নিয়ন্ত্রণ টাওয়ার বিমানবন্দরের অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার ইউনিটে ক্র্যাশ বেল (বিমান বিধ্বস্ত সংকেত) জারি করে।

সকাল ৯:০২:৫৫: অগ্নিনির্বাপণ ইউনিট উদ্ধার সরঞ্জাম প্রস্তুত করে।

সকাল ৯:০৩: উড়োজাহাজটি রানওয়ের শেষ প্রান্তে একটি প্রাচীরে প্রচণ্ড বেগে আঘাত হানে।

সকাল ৯:১০: পরিবহন মন্ত্রণালয় বিমান দুর্ঘটনার খবর পায়।

সকাল ৯:২৩: প্রথম ব্যক্তিকে উদ্ধার করে অস্থায়ী চিকিৎসাকেন্দ্রে নেওয়া হয়।

সকাল ৯:৩৮: মুয়ান বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

সকাল ৯:৫০: বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের পেছনের অংশ থেকে দ্বিতীয় ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়।

দুর্ঘটনার প্রেক্ষাপট ও বিশ্লেষণ

এই দুর্ঘটনার মূল কারণ পাখির আঘাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পাইলটরা দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানালেও, উড়োজাহাজটি নিরাপদে অবতরণে ব্যর্থ হয়। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সতর্কতা এবং অগ্নিনির্বাপণ ইউনিটের দ্রুত পদক্ষেপ সত্ত্বেও হতাহতের সংখ্যা ছিল অত্যন্ত বেশি।

দক্ষিণ কোরিয়ার পরিবহন মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও উন্নত করতে এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা প্রতিরোধে তারা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button